শিপলু জামান ( বাংলাদেশ ) : বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া লঞ্চের ভেতর থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হলেন এক ব্যক্তি। তার নাম সুমন ওরফে সজল ব্যাপারী। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাহপুরে। সোমবার রাত ১০টার দিকে ডুবুরিরা যখন টিউবের মাধ্যমে লঞ্চটি ওপরে তোলার চেষ্টা করছিলেন এবং লঞ্চটির একাংশ ওপরে উঠে আসছিল ঠিক তখনই ওই ব্যক্তি লঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসেন। উদ্ধারের পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ডুবুরিরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে লাইফ জ্যাকেটে ঢেকে এবং মেসেজ করে তার শরীর গরম করার চেষ্টা করেন। এরপর ওই ব্যক্তি চোখ মেলে তাকান। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। উদ্ধারকারী কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিকে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তিনি চোখের ইশারায় কথার জবাব দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে দীর্ঘ সময় পানির নিচে আটকে থাকায় তার শরীরের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল। পানির নিচে তলিয়ে গেলেও এ ব্যক্তি কীভাবে বেঁচে গেলেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি যেখানে আটকা পড়েছিলেন সেখানে হয়তো সেভাবে পানি প্রবেশ করেনি। আজ যখন টিউবের মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়ায় লঞ্চটি তোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল তখন লঞ্চটি সামান্য ভেসে ওঠার পর ওই ব্যক্তি নিজের চেষ্টায় বেরিয়ে আসেন এবং উদ্ধার কর্মীরা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
ছবি : জল থেকে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপ পরিচালক দেবাশিষ বর্ধন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি সম্ভবত ইঞ্জিন রুমে ছিলেন। সাধারণত ইঞ্জিন রুম এয়ারটাইট হওয়ার কারণে সেখানে পানি প্রবেশ করে না। ১০টা ১০ মিনিটের দিকে কুশন পদ্ধতি ব্যবহার করে জাহাজ ভাসানোর চেষ্টা করলে সম্ভবত ইঞ্জিন রুম খুলে যায়। ওই সময় তিনি বের হয়ে আসেন।
এদিকে রাতের মধ্যেই ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ)। সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। আশা করছি রাতের মধ্যেই জাহাজটি সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।ছবি : কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা